ফেনীর ফাজিলপুরে একটি বাগানে কাঠগোলাপের ছবিটি তুলেছেন সুরঞ্জিত নাগ।
স্টাফ রিপোর্টার :
সৌন্দর্য আর গন্ধে গোলাপ ফুলের রাণী।কাঠগোলাপ যদিও গোলাপ ফুলের মতো নয়, কিন্তু রুপে গুণে সেও কোনদিকে কম না। তাইতো গোলাপের সাথে মিল রেখেই তার নাম। গোলাপের মতন কাঠগোলাপ নামটিও আমাদের অতি পরিচিত। পাঁচটি সাদা পাপড়ি বিশিষ্ট ২ ইঞ্চি ব্যাসের গোলাকার ফুলের মাঝে থাকে গাঢ় হলুদ রঙের আভা। দেখতে যেমন দৃষ্টিনন্দন মিষ্টি-মধুর গন্ধও তেমন মাতাল করা। ঝরে পড়ার পরেও সতেজ
থাকে বহুক্ষণ আর মায়াময় মিষ্টি গন্ধও থাকে অটুট। তাইতো মাটিতে পড়ে থাকা ফুল দেখে থমকে যায় পথিক, ছোট ছেলেমেয়েরা কুড়িয়ে নিয়ে নাকে ধরে অদ্ভুত ভাবে ঘ্রাণ নেয় আর তরুণীরা সাজিয়ে
রাখে খোঁপায়। অঞ্চলভেদে কাঠগোলাপ ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত, কেও বলে কাঠচাম্পা কেও বলে গৌরচম্পা, কোথাও বলে গুলাচি, গোলাইচ আবার কোথাও বলে গরুড়চাঁপা, গোলকচাঁপা, চালতা গোলাপ ইত্যাদি। ইংরেজি নাম ঋৎধহমরঢ়ধহর আর দ্বিপদ নাম চষঁসবৎরধ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ ফুলকে মৃত্যুহীন প্রাণের প্রতীক মনে করে।
দেবমন্দির গুলতেও এ ফুলের গাছ অনেক বেশি দেখা যেত, তাই একে টেম্পল ট্রি (ঞবসঢ়ষব ঞৎবব) নামেও ডাকা হয়। আদি নিবাস মেক্সিকো, তবে মধ্য আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা এবং দক্ষিন ভারতেরও স্থানীয় ফুল এটি আর বাংলাদেশে আছে বহু বছর ধরে।
আমাদের দেশে সাধারণত সাদা (কেন্দ্র হলুদ) ফুলটি বেশি দেখা যায়। কিন্তু সাদা ছাড়াও মাঝে মাঝে এ
ফুল হলুদ, লাল, গোলাপি এবং একের অধিক মিশ্র রঙের দেখা যায়। গাছ ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু
এবং ছড়ানো ডালপালা যুক্ত হয়, যা অনেক দূর থেকেও চোখে পড়ে। বাকল মোটা ও পুরু, দেহ নরম, কমল ও ভঙ্গুর। ঘন পাতা আকারে বেশ লম্বা এবং পুরু হয়, দেখতে অনেকটা চালতা গাছের পাতার মতো। শীতেগাছের পাতা ঝরে যায় আবার নতুন পাতা নিয়ে জানান দেয় বসন্তের। পাতা বিহীন কাঠগোলাপ গাছ দেখতে খুবই অদ্ভুত লাগে, যেন মরা কোন গাছ। বসন্তের শেষে শাখা প্রশাখার মাথায় চমৎকার রঙ আর সুগন্ধ যুক্ত গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল হয়। প্রায় সারা বছর কিছু কিছু ফুল ফুটলেও গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শরৎকালে বেশি ফুল ফোটে। ফুল সব সময় গন্ধ ছড়ায় তবে রাতে তা তীব্র হয়।
আমাদের দেশের মাটি এ গাছের জন্য বেশ উপযোগী, তাই খুব বেশি যতেœর প্রয়োজন হয়না, তবে্্স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত আলো-বাতাস এবং পানির প্রয়োজন হয়। আর প্রয়োজন হয় পানি জমেনা এমন উঁচু জায়গা। কাটিং এর মাধ্যমে বংশবিস্তার হয়ে থাকে। বসতবাড়ির আঙ্গিনা থেকে শুরু করে রাস্তার ধার, উদ্যান যে কোন অল্প জায়গার মধ্যেই এই গাছ লাগানো যায়, এমনকি ছাদে টবে ও এই গাছ রোপণ করা যায়।
কাঠগোলাপের চমৎকার রঙ যেমন দৃষ্টি কাড়ে তেমনি এর মিষ্টি-মধুর সুবাস আকুল করে পথিকের মন। আর এই রূপ-গন্ধের ফুলটি তাই যুগে যুগে অনেক দেশে অনেকের কাছে ভালবাসার প্রতীক। কাঠ নরম এবং হালকা হওয়াই বাদ্যযন্ত্র বানাতে, গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে সুগন্ধি এবং তেল তৈরিতেও আছে্মায়াবতী সুগন্ধি এই ফুলের ব্যবহার। আবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে কাঠগোলাপ ফুল পবিত্রতার উৎস, পূজার উপকরণ।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ ফেনী জেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত
- » ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ
- » আমার দেশ সম্পাদকের রত্নগর্ভা মাতা অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগমের মাগফিরাত কামনায় ফেনীতে দোয়া
- » গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ফেনীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
- » ফেনীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংবাদিকদের উপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস
- » জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের উপর হামলা, সংবাদ সম্মেলন
- » ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন
- » ফেনীতে হেফাজতের দোয়া মাহফিলে আজিজুল হক ইসলামাবাদী- ‘আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হবে না’
- » ফেনীতে হাফেজ তৈয়ব রহ. স্মরণে দোয়ার মাহফিল
- » ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ফেনীতে বিএনপি’র বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল, সমাবেশ “গণহত্যার দ্রুত বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি”